• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

ভুল চিকিৎসার অভিযোগ, বন্ধুর মৃত্যুর ভয়ংকর অভিজ্ঞতা জানালেন রাফসান

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক:

তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ইউটিউবার, ফুডব্লগার ও মডেল ইফতেখার রাফসান গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জানান, ভুল চিকিৎসার কারণে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাহিব রেজা। বিষয়টি নিয়ে নানা সমালোচনা ও চর্চার মধ্যেই মৃত্যু হয় রাহিবের। এ ঘটনার একদিন পরই নিজেকে সামলে নিয়ে বন্ধুর মৃত্যুতে ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতার কথা জানালেন রাফসান।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে ৫ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেন রাফসান। সেখানেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। কাছের বন্ধুকে হারিয়ে বিধ্বস্ত ও উদাস হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসকের অবহেলায় প্রিয়জনের মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না বলেও জানান এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর।

এরপরই তিনি বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম আমি। সেখানে জানিয়েছিলাম, আমার বন্ধু রাহিব রেজা হঠাৎ অসুস্থ হলে এন্ডোস্কপির জন্য ল্যাবএইড হাসপাতালে গিয়েছিলেন। হেঁটে অনেকটা সবল অস্থাতেই হাসপাতালে এন্ডোস্কোপি করতে গিয়েছিলেন। দেশের একজন জনপ্রিয় ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। ওই ডাক্তার তাকে সন্ধ্যা ৬টায় সময় দেন। পরীক্ষা করার জন্য ১-২ ঘণ্টা আগে থেকে না খেয়েছিল আমার বন্ধু।

রাফসান বলেন, পরীক্ষাটি করার আগে একটি প্রি ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর ৬টার জায়গায় ৯টায় আসেন ওই ডাক্তার। তখনও না খাওয়া আমার বন্ধু। ১০টা ৫৫ মিনিটে ওর (রাহিব রেজা) পরীক্ষা করা হয়। আর এর কিছুক্ষণ পরই পুরো লাইফ সাপোর্টে চলে যায় সে।

এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, আমি ডাক্তার না। হঠাৎ কেন আমার বন্ধু লাইফ সাপোর্টে চলে গেল―বিষয়টি জানার জন্য আমি আমার কয়েকজন ডাক্তারকে বন্ধুর সব মেডিকেল রিপোর্ট দেখালাম। তারা সবাই রিপোর্ট দেখে, বিশেষ করে প্রি ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট দেখে বলেন, রাহিব রেজা তো এন্ডোস্কোপি পরীক্ষার জন্য ফিট না। এটি প্রি ভ্যালুয়েশন রিপোর্টে স্পষ্ট লেখা রয়েছে। তারপর ল্যাবএইড হাসপাতালের সেই জনপ্রিয় ডাক্তারকে বন্ধু রাহিব রেজার এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোট্ট একটা ভুল হয়ে গেছে। 

রাফসান জানান, ওই ডাক্তার প্রি ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট না দেখেই এন্ডোস্কোপি করান রাহিব রেজার। এ কারণে মাত্র ৩২ বছর বয়সেই জীবন প্রদীপ নিভে যায় তার। এতসব রোগীর মাঝে সব রিপোর্ট ডাক্তারের পক্ষে দেখা সম্ভব না বলে জানানো হয় রাফসানকে। এরপরই তিনি সবার কাছে প্রশ্ন রাখেন, যেখানে একজন রোগীর জীবন প্রদীপ নিভে যায়, সেখানে একজন ডাক্তারের এমন কারণ দর্শানো ঠিক কতটা যুক্তিসঙ্গত হতে পারে?

bk-asif

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads